বেহালায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি কিনে নিলেন বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়। শনিবার বেহালার বাড়িটি বৈশাখীর নামে হস্তান্তরিত হয়েছে। বেহালার ওই বাড়ির মালিক হয়েই বৈশাখীদেবী শোভনবাবুর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে সসম্মানে বাড়ি ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যদি রত্না সসম্মানে বাড়ি না ছেড়ে দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়।
জানা গেছে, শোভনবাবুকে রত্নার সঙ্গে ডিভোর্স ও অন্যান্যবা বেশ কিছু আইনি খরচ দিতে হচ্ছে। কিন্ত শোভনবাবুর এখন তেমন কোনো রোজগার নেই, তাই তার ওই আইনি খরচ চালাতে গিয়ে অনেকটাই সমস্যা হচ্ছে। শোভনবাবুর এই আইনি খরচ মেটানোর জন্য বৈশাখীদেবী তাকে আর্থিক সাহায্য করবেন বলে জানান। এই আর্থিক সাহায্যের জন্যই কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বেহালার ওই বাড়িটি বৈশাখীদেবীর নামে লিখে দেন। জানা যায়, বৈশাখীদেবী শোভনবাবুকে ওই বাড়িটির বিনিময়ে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ দেন। বেহালার ওই বাড়িতে বিয়ের আগে থেকেই শোভনবাবু থাকতেন। কিন্ত এখন সেখানে শোভনবাবুর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় তার ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন।
বাড়িটি কেনার পর বৈশাখীদেবী জানিয়েছেন, শোভনবাবুকে তিনি তার সবকিছুই ব্যবহার করতে বলেছেন। কিন্ত শোভনবাবু তার কথায় রাজি হননি এবং বিনামূল্যে সাহায্য নিতে চাননি। যেহেতু শোভনবাবুর এখন রোজগার বন্ধ, তাই আইনি খরচ চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছিল তার। তাই শোভনবাবু বেহালার ওই বাড়িটি বান্ধবী বৈশাখীদেবীকে বিক্রি করে দেন। বাড়িটি কেনার পরই বৈশাখীদেবী শোভনবাবুর স্ত্রী রত্নাদেবীকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন এবং এটাও জানিয়েছেন শোভনবাবুর মেয়ে যদি ওই বাড়িতে থাকতে চান তাহলে মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না।
সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই শোভনবাবু ও রত্নাদেবীর ডিভোর্স মামলার শুনানি হবে। কিন্ত তার আগেই সম্পত্তি নিয়ে নতুন করে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। আর এই সম্পত্তি নিয়ে আবার কোনো বিতর্ক আইনি লড়াই হয় কিনা সেটাই দেখার।