চুঁচুড়ায় এক অস্বাভাবিক মৃত্যু ! স্ত্রী দুদিন ধরে স্বামীর মৃতদেহ আগলে রেখে শেষপর্যন্ত বাগানে ফেলে দিলেন

চুঁচুড়ায় এক অস্বাভাবিক মৃত্যু ! স্ত্রী দুদিন ধরে স্বামীর মৃতদেহ আগলে রেখে শেষপর্যন্ত বাগানে ফেলে দিলেন

চুঁচুড়ার খরুয়া বাজার সংলগ্ন লোহাপট্টি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এই মৃত যুবক।এই মৃতের নাম দিলীপ রক্ষিত।বয়স হবে প্রায় ৬৫।এই মৃত দিলীপ রক্ষিত তার স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে লোহাপট্টিতেই থাকতেন।স্বামী মারা যাওয়ার পর একটানা দুদিন ধরে স্ত্রী স্বামীর মৃতদেহ আগলে রেখে শেষপর্যন্ত বাগানে ফেলে দিলেন।এই ঘটনা ঘিরে গোটা চুচুড়াবাসীদের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর , দিলীপ রক্ষিত সেচ দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন।মৃত দিলীপ বাবুর স্ত্রী ও ছেলের সাথে খুব একটা ভালো সম্পর্ক ছিল না তাই তিনি মাঝে মধ্যে নিখোঁজ হয়ে যেতেন।স্থানীয়রা পুলিশের কাছে বলেছেন যে দিলীপবাবুকে খুব কমই বাড়ির বাইরে বেরোতে দেখেছেন।প্রায় তার স্ত্রী ও পুত্রের সাথে দিলীপবাবুর ঝামেলা হতো।আর ঝামেলা হলে দিলীপবাবু কিছুদিনের জন্য নিখোঁজ হয়ে যেতেন।এবারও সেইরকমই হয়েছে প্রায় দশ দিন মতন নিখোঁজ ছিলেন দিলীপবাবু।হটাৎ স্থানীয়রা দেখেন মঙ্গলবার দুপুরের দিকে দিলীপবাবুর বাড়ির বাগানে লেপ জড়ানো অবস্থায় কোনও কিছু পড়ে থাকতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। এই অস্বাভাবিক কান্ড দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সেই বাগানে গিয়ে দেখে ওই লেপ সরাতেই দেখা যায় একটি মৃতদেহ।সেই মৃতদেহ থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরাচ্ছে।এবং পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর ,পুলিশ তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তার স্ত্রী বলেন রবিবার তার স্বামী মারা যান তারপর থেকেই তার স্বামীর মৃতদেহ দুদিন ধরে বাড়িতে রেখে দেন।কিন্তু এই মৃতদেহতে পচন শুরু হতে স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে লেপ মুড়ি দিয়ে বাগানে ফেলে দিয়ে আসেন।পুলিশ তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে স্বামীকে দেখানোর জন্য কোনো ডাক্তার ডাকা হয়েছে কি না ।কিন্তু তার স্ত্রী উত্তরে কিছু বলেন না চুপ হয়ে থাকেন।পুলিশরা অনুমান করছে যে তার স্ত্রী মানসিক অবসাদগ্রস্ত মনে হয়।তবে দিলীপবাবুর অস্বাভাবিক মৃত্যু পুলিশদের ভাবাচ্ছে।

---