বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রেমিক পালিয়ে যেতে না চাইলে আত্মঘাতী প্রেমিকা
From : রাইট
Dec 30, 2021
12:06:15 PM
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রেমিক পালিয়ে যেতে না চাইলে আত্মঘাতী প্রেমিকা
মেদিনীপুর জেলার পিংলা গ্রামের শ্রীমন্ত মাইতির সঙ্গে গত ৮বছর আগে সবং থানার কাঁটাখালি গ্রামের মৌসুমী মাইতির বিয়ে হয়েছিল। শ্রীমন্ত পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাঁদের একটি ৫ বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে।কিন্তু গত ৪বছর ধরে শ্রীমন্তর ভাই নীলাদ্রির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মৌসুমীর। নীলাদ্রি মাইতি জরির কাজ করতে হাওড়া জেলার বাগনানে থাকত। মাঝেমধ্যে বাড়ি আসত।এবার বড়দিনের উপলক্ষে বাড়িতে এসেছিলেন নীলাদ্রি।
প্রেমিকা বৌদি পাঁচ বছরের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যেতে চাইছিলো প্রেমিক দেওরের সঙ্গে।কিন্তু নীলাদ্রি লোকলজ্জার ভয়ে পালতে রাজি না হওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিকা বৌদি।
শ্রীমন্তর অভিযোগ, সোমবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এক ব্যক্তির বাড়িতে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন।এরপর দুপুর দেড়টা নাগাদ ভাত খাওয়ার জন্য বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে ডাকাডাকি করে কিন্তু সাড়া না পেয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখেন পিছনের একটি ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে রয়েছে।এরপর তিনি চিৎকার করে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে।
পিংলা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মৌসুমীকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।এবং মৌসুমীর স্বামী ও দেওরকে থানায় ডেকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করে। শ্রীমন্ত সেখানে ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি এর ফলে ওই দিন পুলিশ কেবলমাত্র একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে।
সালিশি সভায় গ্রামবাসীরা নীলাদ্রিকে চেপে ধরতেই সে স্বীকার বউদির সঙ্গে তার চারবছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এরপরই পিংলা থানার পুলিশ মঙ্গলবার নীলাদ্রিকে গ্রেপ্তার করে এবং খুনের মামলা দায়ের করে। কিন্তু নীলাদ্রি এই খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশের একাংশ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে।