বিধাননগরে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য
From : রাইট
Dec 23, 2021
1:56:00 PM
বিধাননগর কমিশনারেটের দত্তাবাদে কোয়েল হাজরা হালদার নামে এক গৃহবধূর নিজের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার তরুণীর বধূর এই অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে ওই এলাকায়। স্থানীয়রা তার বাপের বাড়িতে খবর দেন।তাঁর বাড়ির লোকের অভিযোগ তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তারপর তাঁরা বিধাননগর থানায় গিয়ে তারা শশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ এসে তার স্বামী সঞ্জয় হালদারকে গ্রেপ্তার করে এবং তার শশুরবাড়িতে যতজন ছিলেন সবাইকে গ্রেপ্তার করেছেন।কোয়েলের বাড়ির অভিযোগ তার মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর , ১৮ বছরের ওই তরুণী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বাও ছিলেন। কোয়েলের বাড়ির লোক পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে যে বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ের উপর অত্যাচার করা হতো। পনের দাবিতে কোয়েলের উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করতো তার শশুড়বাড়ির লোকেরা। পুলিশরা অনুমান করছে তার জন্যই হয়তো আত্মঘাতী হয়েছে কোয়েল।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোয়েলের মৃত দেহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তারপর সন্ধ্যায় কোয়েলের মৃত দেহ তার বাপের বাড়িতে নিয়ে আশা হয় মা বাবার কাছে। কোয়েলের মা বাবা বলেন যে ,চার মাস আগে তার মেয়ে কোয়েল বিধাননগরের দত্তাবাদের বাসিন্দা সঞ্জয় পেশায় রাজমিস্ত্রি তার সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়েটা প্রথমে তারা মেনে নেয়নি তারপর কিছুদিন গেলে মেনে নেয়। কিন্তু কোয়েলের দাদা অভিষেক পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যে বিয়ের পর থেকেই কোয়েলের শশুরবাড়ির লোক পনের দাবিতে তার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতো।সঞ্জয় কোয়েলকে রীতিমতো মারধরও করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , অভিষেক আরোও বলেন যেদিন কোয়েল মারা যান তার আগের দিন তার সাথে ফোনে কথা হয়। এবং অভিষেককে কিছু কথা বলেন কিন্তু সেদিন অভিষেকের একটু তাড়া আছে বলে বেশি কথা বলতে পারেননি কোয়েলের সাথে। আর তারপরই বিকেলে সঞ্জয়ের ভাই বিজয় তাকে ফোন করে জানান যে তার বৌদি আত্মহত্যা করেছে। তারপরই কোয়েলের বাড়ির লোক কোয়েলের শশুরবাড়িতে যান এবং থানায় গিয়ে কোয়েলের শশুড়বাড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর , সঞ্জয় তার স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা জায়গায় থাকতেন আর সঞ্জয়ের বাবা মা ও ভাই বিজয় আলাদা জায়গায় থাকতেন। পুলিশ সঞ্জয়ের পরিবারের লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সঞ্জয় জানায় যে ,মঙ্গলবার সে বৌদিকে ফোন করে দুপুরে খেতে আস্তে বলে। তখন বৌদি তাকে বলেন যে তিনি মোবাইলে একটু গেম খেলছেন খেলাটা শেষ করে আসবেন। তখন বিজয়ের দাদা বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে এসে এই গেম খেলা নিয়ে হয়তো কোয়েলের সাথে অশান্তি হয়েছে। যার জন্যই হয়তো কোয়েল এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু সেদিন কি ঘটেছিলো তা কেউই জানে না। কোয়েলকে খুন করা হয়েছে কি তিনি নিজে আত্মহত্যা করেছেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।