এখনো কেন্দ্রে বন্দি ওই নেশামুক্তি বাঘাযতীন এর ওই তরুণী
From : রাইট
Nov 16, 2021
2:15:30 PM
বেশ কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলেও নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ছাড়া পেলেন না বাঘাযতীনের সেই তরুণী । অপছন্দের পাত্রের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করতে মানসিক রোগী সাজিয়ে সেই তরুণীকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। এই অভিযোগ উঠেছিল তার মায়ের বিরুদ্ধে । এই খবরটা যখন সামনে আসতেই চারিদিকে সমালোচনা শুরু হয়ে , কেউ সত্যিই মানসিক সমস্যায় ভুগলে তাঁকে কি নেশামুক্তি কেন্দ্রে রাখা উচিত, না তাকে হাসপাতালে রাখা উচিত । পুলিশ কেন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না এই প্রশ্ন ও উঠে আসে ।
ওই তরুণীর বয়স ২৯। ওই তরুণীকে নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে বাইরে আনতে তাঁর প্রেমিক রঞ্জন নাথ আইনি পথে হাঁটার কথা ভাবছেন। রঞ্জন জানিয়েছেন বহুদিন হলো মা ও মেয়ের মধ্যে কোনো বনিবনা ছিল না। তাই ওই তরুণী কিছু দিন তাঁর প্রেমিক রঞ্জন এর সঙ্গে থাকছিলেন। ৭ অক্টোবর দিনকয়েকের জন্য বাড়ি গেলে ওই তরুণী ৯ অক্টোবর রাত থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত রঞ্জন পুলিশের কাছে গিয়ে জানতে পারেন ,নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে ওই তরুণীকে। রঞ্জন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তরুণীর মায়ের আইনজীবীর অবশ্য দাবি, কিছু দিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তরুণী। তাই তাকে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি কোরান।
সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিকেরা জানান , নেশামুক্তি কেন্দ্রের অনুমতি দেন না তাঁরা। মানসিক সমস্যায় ভোগা রোগীদের রাখতে হলে মেন্টাল হেলথ লাইসেন্স দরকার । সে ক্ষেত্রেও নেশাগ্রস্তদের
আলাদা রাখা বাধ্যতামূলক।
যদিও খোঁজ করে জানা গিয়েছে ওই তরুণীকে নরেন্দ্রপুরের যে নেশামুক্তি কেন্দ্রে রাখা হয়েছে, সেখানে কোনো নিয়ম মানা হয় না।তা ছাড়া, ওই তরুণী স্বল্প মাত্রায় মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বলে আমরা ওঁকে রেখেছি। নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়াও কিন্তু এক ধরনের স্বল্প মাত্রার মানসিক সমস্যা। ফলে যে কোনও নেশামুক্তি কেন্দ্রই এমন রোগীকে রাখতে পারে। কিন্তু তরুণীর মা নিজেই জানিয়েছেন যে তার মেয়ে নেশা করতেন না। কেন্দ্রের তরফে উত্তর মেলেনি ,সমাজকল্যাণ দপ্তরের এক শীর্ষ জানান এমন কাজ পুরোপুরি বেআইনি দ্রুত ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের নথিপত্র পরীক্ষা করতে লোক পাঠানো হবে।