ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ার মফস্বল থানার নদীয়াড়া গ্রামে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে৷ মা মঙ্গলা গোস্বামী ও প্রেমিক সনাতন ঠাকুর দিনের পর দিন একটা সাড়ে ৩ বছরের শিশুকে নানারকম সুচ ঢুকিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিল৷ মা মঙ্গলা গোস্বামী সব জানার সত্ত্বেও বাধা দেয়নি তার প্রেমিক সনাতন ঠাকুর কে৷
এমন ঘটনায় গোটা পুরুলিয়া জেলায় যেন এই অপরাধে থমকে গিয়েছিলো৷ তারপর অভিযুক্তদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন৷
২০১৭ সালের জুলাই মাসে পুরুলিয়ার মফস্বল থানার নদীয়াড়া গ্রামে এমন একটি ঘটনা ঘটনা উঠে আসে৷ জানা যায় শিশুটিকে জ্বর সর্দি কাশি ইত্যাদি মতো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি করা হয় স্থানীয় জেলা হসপিটালে৷ তারপর সেখানে শিশুটির এক্সরে করা হলে দেখা যায় যে শিশুটির শরীরের মধ্যে নানারকম ভাবে সুচ দোকান হয়৷ তারপর শিশুটির শারীরিক অবস্থা দিনদিন খারাপ হতে থাকলে তাকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ এবং পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয় শিশুটিকে৷ তারপর সেখানেই শিশুটির মৃত্যু হয়৷
এরপর পুলিশ জানতে পেরে অভিযুক্ত দের গ্রেপ্তার করে তারপর তাদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে আদালতে প্রেমিক সনাতন ঠাকুর ও মা মঙ্গলা গোস্বামীকে মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা করেন৷ মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা সোনা মাত্রই মা মঙ্গলা গোস্বামী আদালতের চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ে৷ যদিও সনাতন নির্লিপ্তই ছিল৷