নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় পঞ্চমীর সকালে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। একটি কিশোরের ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হয়। আরও ২ জন গুরুতর জখম হয়েছন। একটি পেট্রল পাম্পের কর্মী ওই ডাম্পারটির পিছু নেয়, কিন্ত তিনি আক্রান্ত হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নদিয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়।
জানা যায়, ওই মৃত ছাত্রের নাম ছিল আতিক রহমান শেখ। বয়স ছিল ১০ বছর। নাগাদি এলাকার বাসিন্দা ছিল সে। আতিক দেবগ্রামের একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। বাবা ছিলেন ইটাজুল শেখ। ইতাজুল শেখ এর দুই ছেলে। তিনি বরাবরই দু ছেলেকে খেলাধুলো করাতেন। দুই ছেলে আতিক ও আফিফকে নিয়ে অন্যান্যদিনের মতোই রবিবার পঞ্চমীর সকালে বেরিয়েছিলেন তিনি। পিছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ডাম্পারের চাকায় পিষে আতিকের মৃত্যু হয়।ইটাজুল ও আফিফ তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এবং দু’জনই জখম হন। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
পেট্রল পাম্পের এক মেকানিক নাম অজয় সাহা ওই ঘটনাটি দেখে ডাম্পারটির পিছু নিয়েছিলেন। এক চায়ের দোকানের মালিক ও সেখানে কয়েকজন অজয়কে আটকান। এবং তাঁকে মারধর করা হয়। ডাম্পারটি এই সুযোগে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ করেন, অজয়কে আটকানো হয়েছিল ডাম্পারটিকে পালাতে সাহায্য করার জন্য। এরমধ্যেই নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ ওই চায়ের দোকানের মালিককে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ও ডাম্পারটির খোঁজ শুরু হয়েছে। ছেলের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।