এলাকার এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে স্থানীয় যুবকের সম্পর্ক ছিল । এটাই ছিল যুবকটির ‘অপরাধ’।শাস্তি দিতে গণপিটুনি দেওয়া হয় ওই যুবককে। সে কারণেই ওই যুবকের প্রাণহানি হয় । এই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রাজস্থানের (Rajasthan) হনুমানগড়। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি ৯ জনের খোঁজে শুরু করেছে পুলিশ।
নিহত জগদীশ মেঘওয়াল রাজস্থানের প্রেমপুরার বাসিন্দা ছিলেন ওই যুবক । পরিবার সূত্রে খবর অনুযায়ী , গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। অভিযোগ, রাস্তা থেকে অপহরণ করা হয় জগদীশকে। এরপরই চলে বেধড়ক মারধর। সম্প্রতি ওই মারধরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরালও হয়ে যায়। ওই ভিডিওতেই দেখা গিয়েছে, যুবকের বুকের উপর হাঁটু মুড়ে উঠে পড়েছেন এক ব্যক্তি।ভিডিও তে দেখে যাচ্ছে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়কম মারধর করা হচ্ছে তাঁকে। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন তিনি। তবে আর্তনাদ কারও কান পর্যন্ত পৌঁছয়নি তখন । পরিবর্তে অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। সেই সময় ওই যুবকটিকে না বাঁচিয়ে বেশ কয়েকজনকে ঘটনার ভিডিও করতেও দেখা গিয়েছে।
নিহতের পরিবারের দাবি যে , মারধরের পর অচৈতন্য অবস্থায় হয়ে পড়েন জগদীশ নামের যুবকটি । ঘটনাস্থলে প্রাণহানিও হয় তাঁর। মৃতের বাবার দাবিযে দু’টি বাইকে চড়ে ৫ জন যুবক তাঁর বাড়ির সামনে আসে তারপর ওই পাঁচ যুবক হল স্থানীয় বাসিন্দা বিনোদ, মুকেশ, লালচাঁদ ইলিয়াস রামেশ্বর, সিকন্দর এবং দিলীপ রাজপুত। তারাই জগদীশের দেহ বাড়ির সামনে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যায়। ছেলের দেহ ফেলে দেওয়ার সময় বাধা দেন তিনি। অভিযুক্তরা তা সত্ত্বেও জগদীশের দেহ ফেলে রেখে চলে যায় বলেও অভিযোগ পরিবারের ।
এই ঘটনায় হনুমানগঞ্জ থানায় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর এখনো বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে । সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিওটি হাতিয়ার হিসাবে কাজে লাগিয়ে এই ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা চলছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।