পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত চার আত্মীয় !
From : রাইট
Jan 15, 2022
12:15:00 PM
পূর্ববর্ধমানের কাটোয়া থানার দাঁইহাট স্কুলমোড়ের বাসিন্দা ওই নাবালিকা।নাবালিকার বয়স ছিল মাত্র ১৫।পরিবার সূত্রে জানা যায় ,২০১২ সালে মেয়েটির মায়ের মৃত্যু হয়।মেয়েটির বাবা একটি দোকানে কাজ করতেন তাই মেয়েটির মা মারা যেতে বাবা দিশেহারা কি করবেন মেয়েকে নিয়ে।তাই তিনি ঠিক করলেন মেয়েটিকে দক্ষিনেশ্বরে পিসির বাড়ি পাঠিয়ে দেবেন।আর পিসিমনির বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে ওখানকার স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন।মেয়েটির একটি দাদাও আছে।মেয়েটি পিসিমনির বাড়িতে দু -বছর থাকার পর আবার দাঁইহাট ফিরে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় ,দাঁইহাট ফেরার পর ওই মেয়েটি কিছুদিনের জন্য নিখোঁজ হয়ে যায়।তার বাবা পুলিশের কাছে গিয়ে মেয়ের নাম নিখোঁজ ডায়রি করেন।তারপর মেয়েটি ফিরে এলে চাইল্ডলাইনের প্রতিনিধিরা তার কাউন্সেলিং শুরু করে।তখনিই মেয়েটি সব জানায় তার বড়পিসিমনির বাড়িতে থাকাকালীন তাকে জোর করে ভয় দেখিয়ে পিসতুতো দাদা এবং পিসতুতো জামাইবাবু তাকে ধর্ষণ করে।
মেয়েটি আরোও পুলিশের কাছে জানায় সেখানে তাকে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাই বাধ্য হয়ে তাকে দাঁইহাট ফিরে আসতে হয়।দাঁইহাটে আসার পর নিজের বাড়িতে আর এক পিসেমশাই ও নিজের দাদা তাকে ধর্ষণ করে বলে জানায়।তারপরই নাবালিকা থানায় তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। তারপর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয় দোষী স্যবস্ত করে কাটোয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত।সেদিন বিচারক সাজা শোনান ওই নাবালিকার পিসতুতো জামাইবাবু ও পিসতুতো দাদাকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।পাশাপাশি আর এক পিসেমসাইকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।